Total Pageviews

Wednesday, 14 August 2019

বর্তমান সময়ে পশুর চামড়ায় প্রচুর সিন্ডিকেট থাকার করণে আজ বেহাল দশা - নুর হাসান সন্দ্বীপী

বর্তমান সময়ে পশুর চামড়ায় প্রচুর সিন্ডিকেট থাকার করণে আজ বেহাল দশা।

জি আপনি হয় আমার প্রথম লাইন দেখে আমার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করবেন। তবে আমি সেইসব বিষয় গুলো নিয়ে কোন চিন্তা করি না।কেন না কি জন্যে চিন্তা করবো? সত্যি বলতে বুক কাঁপবে কেন? আমি কি মুসলিম নয়? আমি কি শেষ নবীর উম্মত নয়? আমার নবী কি আমাকে সত্যি বলতে নিষেধ করেছে? অবশ্যই না, আমি সত্যি বলবো।আমাকে সত্যি বলতে হবে।আমার দেখা বাকিরাও সত্যি বলবে এবং বলতে সাহস পাবে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিল্প ছিলো।তার বেশিরভাগই আজকে বিলুপ্ত। যেমন পাটশিল্প,কৃষি, আখ, চামড়া ও পোষাক। এইসব শিল্পের সামগ্রী গুলো বিদেশে রপ্তানি করে।একটা সময় বাংলাদেশ হাজার হাজার কোটি বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করলেও।বর্তমানে এইসব শিল্প গুলো ক্যান্সারে আক্রান্ত ও ধংষের শেষপ্রান্তে।

রাস্তার পাশে রেখে যাওয়া চামড়া  

বাংলাদেশে যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ। প্রতিবছর পবিত্র ইদুল আযহা উপলক্ষে হাজার হাজার পশু জবাই করা হয়।ঐসব পশুর চামড়া গুলো প্রাথমিকভাবে এতিমখানা ও মাদ্রাসায় দেওয়ার পরে ঐ সকল চামড়া গুলো বিক্রি করা হয় শহরের ব্যবসায়ীর কাছে।চামড়ার কিছু টাকা এতিমের হক হিসাবে প্রধান করা হয় এতিমখানায় আর কিছু টাকা গরীবদেরকে দান করা হয়।

তবে এইবছর সহ এর আগের বছর গুলোতে দেখা যাচ্ছে।সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম একদম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।যে চামড়া গুলো আগে একটা ৭-৮হাজার বা তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হতো।সেই চামড়া গুলো এখন মাত্র ২০০-৩০০টাকা বা তারো কম।

বর্তমানে দেশের কৃষক থেকে শুরু করে প্রত্যেক মানুষ নানান অসাধু মানুষের কাছে জিম্মি। কেউ তার সম্পদের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না।পবিত্র কোরবানির পশুর চামড়া ন্যায্য দাম না পেয়ে সাধারণ কেউ কেউ মাটিতে পুতে ফেলেছে।কেউ বা নানান স্থানে ফেলে দিয়ে গেছে।দেশ হারিয়েছে বৈদেশিক মূদ্রা এতিমেরা হারিয়েছে তাদের পাওনা।

আমার প্রশ্ন হলো।দেশে নাকি আইনকানুন রয়েছে।তাহলে যে সকল অসাধু মানুষেরা সিন্ডিকেট করে এতিমের হক ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।তাদেরকে খুজে কেন আইনের আওতায় এনে বিচার করা হচ্ছে না? নাকি তারা বাংলাদেশের আইনকানুনের চেয়ে অনেক শক্তিশালী?

এইসব অসাধু মানুষকে প্রতিহত করতে না পারলে নিরব প্রতিবাদ করে লাভ নেই।সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।নতুন ভাবে অধিকার ও নিজের পাওনা পাওয়ার জন্যে আবার যুদ্ধ করতে হবে।

রাস্তায় ফেলে রাখা চামড়া। ছবি: সংগৃহীত

Tuesday, 13 August 2019

মোদি চোবল থেকে তারাও মুক্তি চাই, তারাও স্বাধীনতা চাই

ইন্ডিয়া বিশ্বের মাঝে অন্যতম একটি দেশ যেখানে ১শ ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষ বাস করে।সেখানের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করলেও মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিক সহ আরো প্রাচীন নানান ধর্মের অনুসারী মানুষের বসবাস।

সেখানকার বর্তমান হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী মানুষ গুলো বিশ্বাস করে।একটা সময় এই ইন্ডিয়া মুসলামানেরা শাসন করেছে।এখন হিন্দুরা শাসন করলেও একটা সময় আবার মুসলমানদের হাতে আবার ক্ষমতা চলে যাবে।তাই হিন্দুবাদী উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের ধরে ধরে নির্যাতন ও হত্যা করতেছে।অনেক মুসলিম পরিবারের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তাদের ঘর,বাড়ি সহ নানান সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হলেও কেউ সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলছে না।

গত কয়েকমাস আগে আমার কাতার যাওয়া হয়। ১৫ই মার্চ ২০১৯ইং বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৩০মিনিটের সময় আমার ফ্লাইট হয়। ১৬ই মার্চ ২০১৯ইং কাতার সময় রাত ২টা ৩০মিনিটে অবতরণ করার পরে। ১৮ই মার্চ আমি কাজে যোগ দান করি।

ভাগ্য বসতে আমার রুমের সবাই হয় ইন্ডিয়ান।তাদের মাঝে সবাই মারোয়ারী। তবে কেউ কেউ হিন্দি বলতে পারলেও শতকরা ৯০জন হিন্দি ভাষায় জানে না।

আস্তে আস্তে তাদের সাথে সম্পর্ক হলে। আমি তাদেরকে ইন্ডিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে।তারা অনেক প্রকার সঠিক তথ্য আমাকে দেয়।এরমধ্যেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তারাও ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মুক্তি চাচ্ছে।

আমি তাদের জিগ্যেস করলে তারা বলছে যতদিন ইন্ডিয়াতে মোদি সরকার রয়েছে।ঠিক ততদিন ইন্ডিয়ার অবস্থা অনেক ভয়াবহ হবে।তারা এখন সময় এবং সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।একটা সময় ইন্ডিয়ার বড় বড় রাজ্যে গুলো ভেঙে খণ্ডবিখণ্ড হয়েযাবে।তারা স্বাধীন হবে।

তাদের রয়েছে নিজের সহ সবকিছু,তবে তারা আনুমানিকভাবে বলছে ইন্ডিয়া কমে ১০খন্ড ও উপরে ১৫এর বেশি খন্ড হবে।

তামিল ও মারোয়ারীরা অনেক আগ থেকে ইন্ডিয়ার এই নির্মম অবস্থা থেকে মুক্তি চাচ্ছে।তাদের রয়েছে নিজের ভাষা, শিক্ষা সহ মৌলিক সবকিছু...

তাদের সকলের কথা শুনে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি।তারা সত্যি সত্যি একদিন ইন্ডিয়ার থেকে আলাদা হয়ে নতুন রাষ্ট্রের পরিনত হবে।
ইন্ডিয়ার বর্তমান মানচিত্র

Wednesday, 7 August 2019

নুর হাসান সন্দ্বীপী'র কবিতা 'প্রিয় সিনী'

ওগো প্রিয় সিনী, ওগো স্বপ্ন হরিণী
সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ ছিলো না,
ছিলো না রাতে ধ্রুবতারা।
বুকের মাঝে কষ্ট ছিলো না,
দুজনের মান অভিমান ছিলো না।
 
হ্নদয়ে হ্নদয় ছিলো,
দুজনের চোঁখের কোণে স্বপ্ন ছিলো।
বুকের মাঝে বুক ছিলো,
কষ্ট গুলো হারিয়ে গিয়েছিলো—
আমরা দুজন ছিলাম দিশেহারা।
 
ওগো মোর ভালোবাসার প্রিয়া...
এই নিশি লগ্নে হঠাৎ এসে করেছো,
তোমার ভালোবাসায় আর্তহারা।
 
জানিনাতো প্রেম কেমন হয়,
জানতাম না গানে কবিতায় ও উপন্যাসেও কথা কয়।
হরিণী চোঁখের কোণের দৃষ্টিতে ভেসে উঠেছিলো,
তোমার আমার স্বপ্নময় ভালোবাসার কথা।
 
দুজনের চোঁখে চোঁখ ছিলো,
দুজনের ঠোঁটে ঠোঁট ছিলো।
ছিলোনা এলেমেলো রাতে চাওয়া-পাওয়া।
এ যেন পবিএ ভালবাসা
সম্মানের সম্মান রাখা...।
 
ওগো প্রিয় সিনী, ওগো স্বপ্ন হরিণী
জানিনাতো বিদায় বেলায় কেমন ছিলো মন
আমার মনে মন ছিলো, ভালোবাসায় থাকবে আজীবন।

http://joyjatra.tv/archive/description/1017