Total Pageviews

Friday, 12 February 2021

নুর হাসান সন্দ্বীপী'র কবিতা 'বই'

আমারো ইচ্ছে আছে,

এইভাবে ঠিক এইভাবে—

ঘরের কোন একটা রুমের ভিতরে সাজিয়ে ঘুচিয়ে রাখবো হরেক রকমের বই।

কবিতা—গল্প—উপন্যাস কিংবা ছোট গল্প থেকে শুরু করে পেপার পত্রপত্রিকা।
নজরুল থেকে জীবনানন্দ দাঁস—ঈশ্বর চঁন্দ্র হতে রবীন্দ্রনাথ—সহ হাজারো কবি-সাহিত্যিকদের বই...।

প্রতিদিন সকালে অথবা সন্ধ্যায় চায়ের কাপে চুমুকের সাথে সাথে হাতে থাকবে একটি বই।
বই আমি তোমার হতে চাই তুমি কই?


Monday, 8 February 2021

বিয়ে নিয়ে ছোটখাটো খুটিনাটি জেনে রাখা উওম

প্রতিদিন দেশের আনাচে-কানাচেতে কমবেশি বিয়ে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত সুন্দর জীবন গড়ার তাগিদে দুইজন ব্যক্তির সর্বসম্মতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। বিয়ে করা কোন খারাপ কিছু নয়৷ তবে খারাপ কাউকে বিয়ে করা মানে জীবনে একটা অভিশাপ ডেকে আনা। সেই অভিশাপ অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েই ভবিষ্যতে অন্ধকার দেখা ছাড়া কোন পথ নেই।

আমাদের সমাজে অধিকাংশ বিয়ে গুলো ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনেই হয়৷ এক পরিবার আরেক পরিবারের সবকিছু কমবেশি যাচাই-বাছাই করে। একটা সময় সব যাচাই-বাছাই করার পরেও ছোটখাটো কিছু বিষয় গোপন থেকে যায়। সেই গোপন বিষয় গুলো জানার জন্য হাজার চেষ্টা করলেও কোন কোন সময়ে জানা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে বিয়ের পরে সেই গোপন বিষয় গুলো সামনে আসে যখন তেমন কিছুই করার থাকে না। তবে ঐসব অজানা থাকার মাধ্যমে একটি সুন্দর সম্পর্কের সৃষ্টির চেষ্টা চলে। ইদানীং আমাদের দেশে মেয়ে একটু সুন্দর হলে বা শিক্ষাদীক্ষা বেশি থাকলে অথবা মেয়ের পরিবার পয়সাওয়ালা হলে কাবিনের অংকের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। আজকাল এটা একটা প্রথা হিসেবে চালু হয়েগেছে। একটু বেশিই জোট খাটিয়ে কাবিননামা করা হয়। কাবিননামা কম হলে নাকি মেয়েকে ছোট করা হয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি। বর্তমান সময়ে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক যদি বিয়ের সবকিছু আয়োজন করা হয়। তাহলে একটা ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হতে অনেক জটিলতা শুরু হবে। যদিও ইসলাম বলছে বিয়েসাদীর বিষয়টা সংক্ষিপ্ত করতে। চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ বিয়েতে কাবিননামার পরিমাণ ৫লক্ষের উপরে থাকে—
অপরদিকে ছেলে পক্ষ যৌতুক নেওয়ার আধুনিক কৌশল অবলম্বন করে। শুরুতেই বলে আমাদের কাছে আপনাদের মেয়ে বিয়ে দিলে আপনারা পানের উপরে চুন দেওয়া লাগবে না। বিয়ের কিছুদিন পরের চিত্র ভিন্ন রূপ নেয়। তখন এই যৌতুকের জন্য সংসার জীবনে অশান্তির সৃষ্টি হয়। আর সেই অশান্তি থেকেই অনেক সংসার টিকে থাকতে মেয়ের পরিবার নানান কিছু দিয়ে খুশি রাখার চেষ্টা করে৷ একটা সময় দিতে হিমসিম খেলে তখন মেয়ের উপরে অত্যাচার করা হয় এমন কি মাঝে মাঝে তালাক দেওয়া হয়।

আজকালকার মেয়েরাও কম যায় না। কোন কোন সময় দেখা যায়৷ মেয়েরা নিজের ইচ্ছেতে সংসার করবে না বলে তালাক দেয়৷ পরকিয়া করেই স্বামীতে তালাক দেয়। আর তালাক দেওয়ার পরেই কাবিনের বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।
আসুন এবার সমকালীন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথায়। বিশ্ব এখন ডিজিটাল—ডিজিটাল বিশ্বে সবকিছু কমবেশি হাতের মুঠোয়। আমাদের সমাজে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো। ছেলে মেয়ের বিয়ের আগের সম্পর্ক। যেটা ইসলামীক শরিয়ত মোতাবেক সম্পূর্ণ হারাম। এই হারাম সম্পর্ক গুলো কিছু সময় টিকে গেলেও অধিকাংশ সম্পর্ক ভেঙে যায়। দেখা গেলো ছেলে মেয়ে শয়তানের প্রবঞ্চনায় পড়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। একটা সময় সেই মুহুর্ত গুলোর ভিডিও অডিও ছবি গুলো দেখিয়ে নানান প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করে যে কোন একটা পক্ষ। তাই আপনি যাকে বিয়ে করবেন। বিয়ের আগে যেভাবেই হোক তার বিস্তারিত জানুন। এরপরে তাকে আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে স্থান দিন। যদি দেখেন ছেলে অথবা মেয়ের এমন কোন সম্পর্ক আছে। তাহলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি তাকে বিয়ে না করা উওম। কেন যে ছেলে অথবা মেয়ে বিয়ের আগে জেনা করে সে বিয়ের পরেও জেনা করতে ভয় পাবে না। এমন মানুষকে বিয়ে করলে মৃত্যুর আগ পযন্ত আপনাকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। সাংসারিক জীবনে সুখের চেয়ে দুঃখের পরিমাণ বেশি হবে।
কোন কোন সময় প্রাক্তন গুলো নানান প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করে। আপনার দাম্পত্য জীবনে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি করে দিবে। সেই ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে আমি সর্বস্ব হারাবেন। আপনার একটি মাত্র ভুলের কারণে আমি আপনার পরিবার ও সমাজ এবং বন্ধুবান্ধবের কাছে মুখ দেখাতে পারবেন না।

বিয়ে করার আগে আরেকটা বিষয় গুরুত্ব দেওয়া দরকার। ছেলে ও মেয়ে নেশাগ্রস্ত কিনা! নেশাগ্রস্ত ছেলে মেয়ে বিয়ে না করা উওম।