Total Pageviews

Monday, 30 September 2019

ভারত বাংলাদেশের কেমন বন্ধু এই কথাটার বর্তমান বাস্তবতা জেনে রাখা ভালো

বীর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা।মহান আল্লাহ যখন এই দুনিয়াতে মানুষ পাঠাবেন চিন্তা করেছিলো।তখন আল্লাহ ঠিক করেছেন সঙ্গিবিহীন একাকী কেউ থাকতে পারবে না।তাইতো হযরত আদম (আঃ) এর সঙ্গী হিসাবে মা হাওয়াকে দুনিয়াতে পাঠিয়ে ছিলেন।


সমসাময়িক বিশ্বে টিকে থাকার জন্যে এক দেশের সাথে অন্য দেশের সুসম্পর্ক অত্যান্ত জরুরি। অন্যথায় ধংস অনিবার্য।বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধু দেশ এটা কে বা না জানে? তবে কেমন বন্ধু এটা বাংলাদেশের মানুষ বর্তমান সময়ে কমবেশি ভালো জানে।

বাংলাদেশ সবসময় ভারতের উপকার ও উপহার দিতে উঠেপড়ে লাগলেও ভারত তাদের স্বার্থের আশায় আমাদের সাথে পড়ে আছে।বাংলাদেশের নদীর মাছ থেকে শুরু করে নদীর পানি ভারত নিয়ে যায় কিন্তু আমরা কিছুই বলি না বা বলতে পারি না।বাংলাদেশের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সহ নানান সম্পদ ভারত নিয়ে যায় কিন্তু আমরা কোন মতেও কিছুই করি না।

বর্ডারে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হত্যা করে।আমরা নিশ্চুপ হয়ে লাশ গ্রহণ করি তাও কিছু বলি না।বর্ষার সময় তারা বন্যার বিস্তার ঘটানোর জন্যে পানি ছেড়ে দেয়।তাছাড়া আরো অনেক জঘন্যতম কাজ বাংলাদেশের সাথে তারা করে।

গতকাল বাংলাদেশের সরকার ভারতকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা হিসাবে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ দেওয়ার পরপর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলো ভারত।এই দেখুন বন্ধুত্বের নমুনা।

এইবার আসুন একটু পুরাতন ফাইল খুলি। কিছুকিছু সময় দেখা যায় বাংলাদেশের মাটিতে থাকা কিছু ভারতীয় দালাল ও গুপ্তচর বলে ১৯৭১সালের যুদ্ধের সময়ে নাকি ভারত বাংলাদেশের হয়ে যুদ্ধ করেছে।ভারত বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে।এইবার আসুন এটার ছোট করে বিস্তারিত জানি।

ভারত যদিও আমাদের সাহায্য করে তাহলে এটা ছিলো তাদের কঠিন স্বার্থ।তারা আমাদের সাহায্যের নামে লুটেপুটে নিয়ে গিয়েছে আমাদের সম্পদ।আমার একজন নানান আমাকে বলেছে।যুদ্ধের পরে নাকি বাংলাদেশের আনাচেকানাচে ভারতীয় অনেক মানুষের আনাগোনা দেখা যায়।এখানে নাকি তখন ভারতীয় রুপি চলতো।মানুষের অভাবের সুযোগ নিয়ে লুটেপুটে নিয়ে গিয়েছে অনেক দামী দামী সম্পদ।

৭১ এর আগে যখন পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান একসাথে ছিলো।তখন পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষেরা যতরকমভাবে কলকারখানা ছিলো। তার বেশির ভাগ পুর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে স্থাপন করেছিলো।যুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্যের নামে এখানে ভারতীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলো।

তারা যুদ্ধের শেষ সময়ে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশ থেকে অনেক মুল্যবান সম্পদ নিয়ে গিয়ে ছিলো।ভারত আমাদের তেমন বন্ধু।আজকে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেয়ে ছিলো। ঠিক তখন ভারত বাংলাদেশের পাট-শিল্পের উপর নজর দিয়ে সেটা খেয়ে দিলো।তারপর ধরলো গার্মেন্টস শিল্প, চামড়া শিল্প সহ নদীর মাছ দেখুন এটাই বাংলাদেশের বন্ধু ভারত।

আমরা আমাদের এত গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু খেয়ে দেওয়ার পরেও ভারতে তোশা মেদ করি।

আমি একজন বাংলাদেশি হিসাবে ভারতকে ঘৃণা করি।সারাজীবন করে যাবো।বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

No comments:

Post a Comment