বাংলাদেশের মাটিতে বসবাস করে।বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিভাবে ভারতের পক্ষে কথা বলে? ওনারা কি সত্যি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছে? নাকি ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে বাংলাদেশকে তৈরি করার লক্ষে কাজ করছে?
এই দেশের মাটিতে বসবাস করা ভারতের দালাল গুলোর উৎসবমুখর পরিবেশ দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। আমাদের এই সুন্দর ভূমিকে স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন দিয়েছে,তাদের জন্যেও কষ্টের পাশাপাশি আফসোস হয়।
কেন? কেন? কেন?
আপনারা মায়ের বুক খালি করে। আপনাদের জীবন বিসর্জন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন? কি জন্যে জিয়াউর রহমানের কথামতো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
১৯৭১ সালে "পূর্বপাকিস্তান" নামের দেশটি "পশ্চিমপাকিস্তান" থেকে স্বাধীন হয়েছিলো। ফিরে পায় নতুন ভূখন্ড যার নাম বাংলাদেশ। সেই ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তান থেকে মুক্ত হলেও ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মুক্ত হতে পারিনি।
পাকিস্তানকে এখনো বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল মানুষ মনেপ্রাণে ঘৃণা করলেও, তবে ইন্ডিয়ানদের চাটুকার ও দাদাল হিসেবে বেঁচে থাকার জন্যে রয়েগেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুশীলদের কিছু অংশ।
তবে কি আজকাল সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের বড় অভাব? নাকি সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবেসে দেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজেদের পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত করে। আবার স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যের আলোর মিছিলের প্রহর গুনছে হাজারো জনতা?
সত্যি কেন জানি আপসোস হয়।এইদেশের মাটিতে বসবাস করা মানুষ গুলোর জন্যে। কেন না স্বাধীনতার পরথেকে ভালমন্দ মিলিয়ে দেশ চলছিলো। উন্নয়ন ও উন্নতর পথে হাটছিলো।যখন ইন্ডিয়ানরা বুঝতে পারলো বাংলাদেশের মত একটি ছোটদেশ তরতর করে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত ও উন্নত হচ্ছে। ঠিক সেই সময় ইন্ডিয়ানরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের হত্যা করে তাদের মনকামনা পূর্ণ করে।এখনো তারা বাংলাদেশের মাটিতে ঘটিত নানান অপরাধের সাথে জড়িত বলে ধারণা করা যায়।
সেই থেকে আস্তে আস্তে শুরু হয় বাংলাদেশের মাটিতে বিচারবহির্ভূত হত্যার সূচনা। পাশাপাশি শুরু হয় আইনকানুনের অবনতি, অবমাননা ভারতের পক্ষে সাফাই এবং চাটুকারিতা ও গোলামী। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তারপরও ভালো ও খারাপ দুইটাকে মানিয়ে চলছিলো।আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের মাটিতে থাকা ভারতের দালালদের চেহারা।
কেন না প্রতিমাসে সীমান্তে হত্যা হয়।প্রতিবাদে মুখরিত হয় না কেউ।উল্টা বাংলাদেশে থাকা ভারতের দালাল গুলো নানান অপবাদ দেয় মৃত ব্যক্তির উপরে।তারা বাংলাদেশে বসবাস করে ভারতের পক্ষে কথা বলছে কাজ করছে। রয়েছে হাজার হাজার ভারতীয় দালাল।তারা কিভাবে বাংলাদেশের মাটিতে বসে উগ্রবাদী হিন্দুদের পক্ষ হয়ে কাজ করছে? এটা নিয়ে কথা বলার মত কেউ নেই।
আজকাল পত্রপত্রিকার খুললেই দেখা যায়।হাজার হাজার ইন্ডিয়ানরা বাংলাদেশের নানান কলকারখানায় কাজ করছে।বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স নিয়ে যাচ্ছে ভারতের একটা অংশ।তবে বাংলাদেশের নাগরিকদের চাকরি পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ঘুষ দিয়ে চাকরি পেতে হচ্ছে। সত্যি অনেক কষ্ট হয় অনেক আফসোস করে বলতে হয়। এই বাংলাদেশ আমার না। যে বাংলাদেশে বাংলাদেশ পন্থী হয়েও কথা বলা যায় না।
তবুও হাজারো কালোছায়ার মাঝেও আলোর স্বপ্ন দেখছে। এইদেশের মাটিতে বসবাস করা সত্যিকারের কিছু দেশ প্রেমিক তরুণতরুণীরা...।
তারা আজকাল ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছে।ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখছে।প্রতিবাদের ঝড় তুলছে রাজপথে ও অনলাইনে।আমিও বাংলাদেশের একজন স্বাধীন নাগরিক। আমিও চাই বাংলাদেশের মানুষ আবার ফিরে পাক নতুন করে বাঁচে থাকার অবলম্বন। বন্ধ হোক সীমান্ত হত্যা। বন্ধ হোক ভারতের দালালদের মুখের ভাষা। বন্ধ হোক ভারতের আগ্রাসন।
আসুন ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থা গ্রহণ করি। ভারতের বিরুদ্ধে বলি।ভারতের বিরুদ্ধে লিখি।প্রতিবাদ করি প্রতিঘাত করি।
#বয়কট_ভারত
আমি বাংলাদেশ পন্থী, আমি বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক, আমি ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলি।
এই পোষ্ট সম্পূর্ণ ফেসবুকে পড়তে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment