তোমার বাড়ির পাশদিয়ে যাচ্ছিলাম
হুটহাট করেই চলে যাচ্ছিলো দেহ—
দেহের ভিতরে থাকা মন
কেন জানি করছিল চটপট
নিজেকে ও মনকে না সামলাতে সামলাতে...
এদিক ওদিক ঊঁকিঝুঁকি—
তোমাকে খুঁজছি, ঐ-যে সূদুরে ভেজা ওড়না দেখছি।
ওড়নার পাশে শুকাতে দেওয়া লাল সেলোয়ার-কামিজ...
তোমাকে দেখার ইচ্ছে জাগলো, এক-পা দু-পা করে
নীরব নিস্তব্ধ হয়েও এগিয়ে যাচ্ছে শরীর।
বারান্দার জানালার পাশে একগুচ্ছ চুল,
চুলের পাশে সূর্যমুখীর ফুল—
তোমাকে দেখছি, দেখার পাশাপাশি ভাবছি,
হয়তো মন চাই না হয় দেহ তুমি কি আমায় নিয়ে এখনো ভাবো!
তোমার দেহের ভিতরে কি মন নেই?
নাকি মনের ভিতর আমি নেই?
চিৎকার করে জিগ্যেস করতে ইচ্ছে হলো,
চিৎকার করে জিগ্যেস করার পরে-ও।
তুমি হেসে যাচ্ছো,বলে যাচ্ছো নতুনকে নিয়ে কথা।
ভাবতে ভাবতে আবার হাটছি
যাচ্ছি দূরে চলে যাচ্ছি বহুদূরে, যে দূরের সীমা নেই।
সীমাহীন ছুটে চলাকে হয়তো চিরবিদায় বলে।
সে-ই বিদায় দিতে আমি পেরেছি
তুমি পারোনি আগে।
No comments:
Post a Comment